
মেসেঞ্জারে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রাখার পরিকল্পনা চলছে। সেইমতো ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেছেন যে, সমস্ত মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের কাছে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে। সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে, বর্তমানে বিষয়টি পরীক্ষার পর্যায়ে আছে। আরো বেশি মানুষের কাছে সুরক্ষা ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে হলে একটু সময় লাগবে, তাই এই বছরের শেষে পুরো কাজ সম্পূর্ণ হবে না। কাজটা জটিল হলেও মেটা দাবি করেছে যে বছরের শেষে মেসেঞ্জারে ওয়ান-টু-ওয়ান বা পারিবারিক চ্যাটের জন্য ডিফল্ট সেটিং হিসাবে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রাখার পরিকল্পনা চলছে।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের আপত্তি ছাড়াও, যারা মনে করে যে E2EE অপরাধ মোকাবেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, রোলআউটটি এত সময় নেয়ার অন্যান্য কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে মেটা । কোম্পানিটি এখন চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করছে।
নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক। সেই কারণেই টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন (E2EE) ব্যবহারকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ৷ মেটা দীর্ঘদিন ধরে এই নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যটিকে তার অন্যান্য মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে প্রসারিত করার ইচ্ছে প্রকাশ করে এসেছে।
আমাদের কর্মীদের চ্যাট হিস্ট্রি পরিচালনা করার জন্য একটি PIN সেট আপ করার মতো নতুন পদ্ধতিগুলি বিকাশ করতে হয়েছিল। এই PIN পদ্ধতির সাথে E2EE বজায় রাখার জন্য, আমরা হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি মডিউল (HSM) এর একটি নতুন পরিকাঠামোও তৈরি করেছি।” ডিফল্টরূপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের কাজ শেষ হতে এখনো অনেকটা সময় বাকি, তবে এটির ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করেছে মেটা।
কোম্পানির দাবি, পুরো পরিষেবাগুলি E2EE-তে স্থানান্তর করা একটি জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং কাজ। কারণ পুরো কলিং কোড বেস সম্পূর্ণরূপে নতুনভাবে প্রয়োগ করতে হবে। একটি ব্লগ পোস্টে বিষয়টি নিয়ে মেটা জানিয়েছে, ”যেহেতু মেসেজ কনটেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা সার্ভারের ব্যবহার এড়াতে চেয়েছিলাম, তাই নতুন পরিকাঠামোতে আমরা কীভাবে স্কেল করব তা আমাদের পুনর্বিবেচনা করতে হয়েছিল। এর অর্থ হল E2EE এর সাথে ট্রিলিয়ন সক্রিয় কথোপকথন আপগ্রেড করতে হবে, তারা যে গতিতে যোগাযোগ করতে পারে বা তাদের বার্তাগুলি সরবরাহ করা হচ্ছে তার নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে মানুষের প্রত্যাশাকে ব্যাহত না করে সেটা মাথায় রাখতে হবে।
সূত্র : betanews