
রাইজিংসিলেট- যুক্তরাজ্য শিগগিরই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান যুক্তরাজ্য সফরের কারণে তা সাময়িকভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ-এর বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণাটি ছাপিয়ে যেতে পারে—এই বিবেচনায় সফরের পরে এ সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এ সম্ভাব্য স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তকে হামাসের প্রতি এক ধরনের পুরস্কার বলেই মনে করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, “আমরা যুদ্ধের অবসান চাই, কিন্তু হামাসের মতো সংগঠনের সঙ্গে তা সম্ভব নয়।”
পরবর্তী সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে নিউইয়র্কে। সেখানে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার ও বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এর আগেই বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানায়, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে অঙ্গীকার না করে এবং পশ্চিম তীরের দখল বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তার ভাষায়, “এই মুহূর্তে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান হুমকির মুখে। তাই পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এখনই।”
ইসরায়েল ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে, ফলে ব্রিটেনের স্বীকৃতি অনেকটাই নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।