ঢাকাসোমবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেখ হাসিনার মৃ ত্যু দ ণ্ড কার্যকরে দিল্লির দ্বিধা বড় বাধা

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ২৪, ২০২৫ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

রাইজিংসিলেট- একসময় দক্ষিণ এশিয়ায় ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক যাত্রা এখন এসে থেমেছে ভারতের রাজধানীতে স্বেচ্ছানির্বাসনে। ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে, তবে সেই রায় কার্যকর হতে পারে কি না, তা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে নয়াদিল্লির ওপর।

বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেও শেখ হাসিনা অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন এবং দাবি করেছেন তিনি নিরপরাধ।

অতীতের রক্তাক্ত স্মৃতি

মুক্তিযুদ্ধ- পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার সবচেয়ে করুণ অধ্যায় ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেনাবাহিনীর একদল সদস্য তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে। সে সময় হাসিনা ও তার বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর তাকে ভারতে নির্বাসিত থাকতে হয়, যা পরবর্তীতে ভারতের প্রতি তার ব্যক্তিগত আস্থার ভিত্তি গড়ে দেয়।

১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেন এবং ধীরে ধীরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়েন। দুই নেত্রীর দ্বন্দ্ব প্রায় তিন দশকের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে প্রভাবিত করে।

ক্ষমতায় উত্থান ও সমালোচনা

১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। পরে ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর দেশ পরিচালনা করেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ভারতের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা তার সরকারের প্রধান স্তম্ভগুলোর একটি ছিল।

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এই সময়েই বাংলাদেশ ক্রমে কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে এগোতে থাকে। সমালোচকদের দাবি, রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে কঠোরতা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা তার সরকারের বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে।

ছাত্র আন্দোলন, দমন–পীড়ন ও পতন

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি বিস্ফোরিত হয়। যুব সমাজের নেতৃত্বে ছড়িয়ে পড়া গণ–বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।

মৃত্যুদণ্ড ও কূটনৈতিক জটিলতা

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে বলে, তিনি বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পর নিহত ছাত্রদের পরিবার শাস্তিকে স্বাগত জানায়।

ঢাকা নয়াদিল্লিকে দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও ভারত এখনো কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ–ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তিতে ‘রাজনৈতিক অপরাধে’ প্রত্যর্পণ না করার ব্যতিক্রম রয়েছে, যা ভারতের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।

ভারতের সাবেক কূটনীতিকদের অনেকে মনে করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি- সুপ্রিম কোর্টে আপিল বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তাই ভারত তার প্রত্যর্পণে তাড়াহুড়ো করবে না।

বাংলাদেশে অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবেশ আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় এবং নেতৃত্ব বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় বিএনপি ও অন্যান্য দল নির্বাচনের ময়দানে নতুন সুযোগ পেলেও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিভেদ সহজে কাটবে না বলে বিশ্লেষকদের মত।

এখন নজর সকলের৷  শেখ হাসিনার নিষ্পত্তি কি একটি সংঘাতপূর্ণ যুগের পরিসমাপ্তি ঘটাবে, নাকি বাংলাদেশকে আরও গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে।

সুত্র- NWS-24

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।