
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সমকালের রাজারহাট প্রতিনিধি ও রাজারহাট প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে হত্যার হুমকি দিয়েছে রাজারহাট উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আনিছুর রহমানের পুত্র সোহেল আনিছ। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বাজারের থানা মোড়ে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই ভূক্তভোগী সাংবাদিক রাজারহাট থানায় একটি জিডি করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, রাজারহাট বাজারের থানা মোড়স্থ বাদল চন্দ্রের কসমেটিক্স দোকানে সাংবাদিক আসাদ কেনাকাটা করার সময় তাকে দেখে সোহেল আনিছ অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। এসময় তিনি সেখান থেকে সরে পার্শ্ববর্তী আব্দুর রশিদের ওষুধের ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়ের জন্য আসেন। সোহেল আনিছও তার পিছু পিছু সেখানে উপস্থিত হয়ে পুনরায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করতে থাকে। ওই সাংবাদিক হুমকি ও গালমন্দের কারণ জানতে চেয়ে বিষয়টি মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করার সময় সোহেল আনিছ উত্তেজিত হয়ে তার হাত থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং হুমকি দেয় যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সে রাজারহাট প্রেসক্লাব দখলে নিয়ে নিজেই সভাপতি হবে। একপর্যায়, তার পিতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ উঠানো না হলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
উল্লেখ, সাংবাদিক আসাদ এর ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম উপজেলার পাঠানহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং উচ্চ আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও উক্ত মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ও রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক আনিছুর রহমান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অফিস সহকারীর পদ ছেড়ে দিয়ে সেই পদে নতুন নিয়োগ দিয়ে টাকার ভাগ নেয়ার প্রস্তাব দেন। আরিফুল তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে এমপিও রেজুলেশন প্রদানে টালবাহানা করে আসছেন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আরিফুল মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ বিভিন্ন দপ্তরে মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি এবং মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর একাধিক সংবাদ মাধমে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল এবং সাংবাদিক আসাদ এর জিডি’র প্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।