
ঈদের ছুটি কিংবা সাপ্তাহিক অবকাশ-যেকোনো সুযোগ পেলেই পর্যটকের পা পড়ছে কুয়াকাটায়, যেখানে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায় সমুদ্রের বুকে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কুয়াকাটা সৈকতে চোখে পড়ার মতো পর্যটক এসেছে।
সকাল গড়াতেই কুয়াকাটার সৈকতে জমে ওঠে পর্যটকের ভিড়। কেউ গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন নোনাজলে, কেউবা সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। শিশুরা বালির দুর্গ বানিয়ে খেলায় মগ্ন, আর বড়রা ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছুটে যাচ্ছেন সৈকতের পূর্ব প্রান্তের ঝাউবনের দিকে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকরা হইহুল্লা করে মাতিয়ে রেখেছেন পুরো সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ বা আবার দল বেঁধে সাতার কাটছে। আনন্দ উপভোগের দৃশ্য স্মৃতিপটে ধারণের জন্য কেউ বা আবার ছবি তুলছে। অন্যদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় ব্যস্ততা দেখা গেছে কুয়াকাটার সকল রেস্তোরাঁসহ পর্যটন-নির্ভর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরছে কুয়াকাটয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকদিন কুয়াকাটায় তেমন কোন পর্যটক ছিল না।
পর্যটকদের জন্য এখন কুয়াকাটায় রয়েছে নানা আকর্ষণ। সৈকতের পাশেই তাজা সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ, ঝাউবনের শান্ত সবুজ, রাখাইন পল্লির নিজস্ব সংস্কৃতি, ফাতরার চর, লাল কাঁকড়ারচর, চর গঙ্গামতি, আর সাইকেল কিংবা মোটরবাইকে পুরো সৈকত পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা।
কুয়াকাটা সৈকত কথা হয় পর্যটক আসাদুজ্জামান রিপনের সঙ্গে। তিনি খুলনা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে প্লান করি আসবো। নানা কারণে আসা হয়নি। অবশেষে আজ এসেই পরলাম। খুব সুন্দর জায়গা। বড় বড় ঢেউ আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক শহীদুল ইসলাম সাগর বলেন, সাগরের ঢেউ দেখে খুবই ভালো লাগছে। তবে সী-বিচের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জিও ব্যাগগুলো এমনভাবে পড়ে আছে আমরা গোসল করতে ভয় পাচ্ছি। ঢেউয়ের তোড়ে অনেক জায়গায় গর্ত হয়ে গেছে। সে সব গর্তে পড়ে অনেকে ব্যথা পাচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য। সাপ্তাহিক ছুটিতে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের আনাগোনা। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
সৈকতের ব্যবসায়ী রুবেল হাওলাদার বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে পর্যটক ছিল না। আজ পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। বেচাকেনাও মোটামুটি ভালো হয়েছে।