সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে দলীয় সভায় ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় সুমন মঞ্চেই ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকার পরও সায়েদুল হককে প্রধান অতিথি করা নিয়ে সভায় আপত্তি তোলেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে সভায় প্রথমে হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে মঞ্চে উঠে সায়েদুল হকের সমালোচনা করে বক্তব্য শুরু করলে মুক্তাদির চৌধুরী ‘লাঞ্ছনার’ শিকার হন।
জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ এই মতবিনিময় ও বর্ধিত সভার আয়োজন করেছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকবর হোসেনের সভাপতিত্বে গতকাল বিকেল ৪টায় এ সভা শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ‘লাঞ্ছিত’ ওই নেতা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাথী মুক্তাদির চৌধুরী।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী বলেন, মুক্তাদির চৌধুরীকে কেউ মারধর করেননি। তবে তেড়ে গেছেন অনেকেই। যাঁরা তেড়ে গেছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের পদধারী কেউ না। তাঁরা ব্যারিস্টার সুমনের সমর্থক ও কর্মী। তিনিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তাৎক্ষণিক বিষয়টি সামাল দিতে পেরেছেন বলে পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করেনি।
মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, তিনি সভায় সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রজব আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়েছে। রজব আলী সংসদ নির্বাচনে সায়েদুল হকের পক্ষে কাজ করেছিলেন বলে জানান মুক্তাদির।