
রায়হান আহমদ লিটন ::সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়ানো কুকুরের কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নগরবাসী। রাত-বিরাতে কিংবা ভোরে কর্মস্থল ও বাজারে যাতায়াতের সময় কুকুরের আক্রমণে অনেকেই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা কাষ্টঘর রোডে সাম্প্রতিক সময়ে পথকুকুরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ও দুপুরের ব্যস্ত সময়ে, বিশেষ করে স্কুল চলাকালীন সময়ে, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষদের জন্য আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কাষ্টঘরে অবস্থিত দুটি কসাইখানার আশপাশে রাস্তার পাশে প্রায়ই মাংসের অবশিষ্টাংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব খাদ্যের উৎসবেই আশেপাশের এলাকা থেকে কুকুরগুলো একত্রিত হচ্ছে। অন্যান্য রোডের তুলনায় কাষ্টঘরে কুকুরের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একাধিক অভিভাবক জানান, স্কুলে যাওয়ার সময় ছোট শিশুদের অনেক সময় কুকুরের ভয়ে দোকানে আশ্রয় নিতে হয়। কেউ কেউ দোকানদারদের সহায়তায় নিরাপদে পথ অতিক্রম করেন। বিশেষ করে সকালে স্কুল শুরুর সময় এবং দুপুরে ছুটির সময়ে কুকুরগুলোর দলগত অবস্থান শিক্ষার্থীদের চলাচলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
শহরের ব্যস্ত সড়ক, অলিগলি ও বাসাবাড়ির সামনে দলবদ্ধভাবে কুকুর ঘুরে বেড়ানো এখন নিয়মিত দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানান, এসব কুকুর হঠাৎ করেই পথচারীদের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে রাস্তায় চলাচলকারীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা নগর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা অনুরোধ করছেন যেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন এ বিষয়ে একটি কার্যকর ব্যবস্থা নেয় — যেমন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা, রাস্তার পশু বর্জ্য অপসারণ এবং কুকুর নিয়ন্ত্রণে হিউম্যান পদ্ধতিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সামাজিক সংগঠনগুলোও এ বিষয়ে মানবিক ও টেকসই সমাধানের তাগিদ দিচ্ছেন। তাদের মতে, শহরের প্রাণীগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ বজায় রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।