
রাইজিংসিলেট- সিলেটের বাজারে সবজির পসরা জমজমাট থাকলেও ক্যাপসিকামের চাহিদা খুব একটা চোখে পড়ে না। দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেকেই এটি এড়িয়ে চলেন। আবার অনেকের ধারণা—এটি শুধু “পিজ্জার সবজি”, ঘরোয়া রান্নায় এর তেমন ব্যবহার নেই। অথচ এই ক্যাপসিকাম বা ‘বেল পেপার’ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ভিটামিনের ভাণ্ডার
ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন A, B6, E ও ফোলেট—যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চোখ ও ত্বকের যত্নে
ভিটামিন A এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে ক্যাপসিকাম চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ওজন কমাতে সহায়ক
ক্যাপসিকাম ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণে খুবই কম, কিন্তু আঁশযুক্ত। ফলে এটি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কমে। ফলে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি উপকারী খাবার।
হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো
এতে থাকা পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
সিলেটের বাজারে সম্ভাবনা
যদিও বর্তমানে সিলেটে ক্যাপসিকামের ব্যবহার সীমিত, তবে ধীরে ধীরে রেস্টুরেন্ট ও স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতাদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিনের খাবারে একটুখানি ক্যাপসিকাম যোগ করলেই পাওয়া যেতে পারে এর অসাধারণ উপকারিতা।
সঠিক প্রচার ও ব্যবহার জানালে সিলেটবাসীর পাতে ক্যাপসিকাম নিয়মিত দেখা যেতেই পারে।