
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) পক্ষ থেকে সম্প্রতি জারি করা একটি অফিস আদেশ নিয়ে । আদেশে ‘আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ার’ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকায় অনেকেই একে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
জানা গেছে, ২৮ সেপ্টেম্বর এক উচ্চপর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে উচ্ছৃঙ্খলতা, জননিরাপত্তা, অবৈধ মিছিল-মিটিং এবং দলীয় পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারের ঘটনাগুলো নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিশনার কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসএমপি’র আওতাধীন থানাগুলোতে এই বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি আদেশ ভাইরাল হয়।
আদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিসি (উত্তর, দক্ষিণ ও ডিবি), জোনাল এডিসি/ডিবি, জোনাল এসি এবং প্রতিটি থানার ওসিদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। এ আদেশটি আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমেজ আকারে ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজে একটি বিবৃতি প্রচার করে এসএমপি পুলিশ।
যেখানে বলা হয়- ‘সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাক্তি ফেসবুকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনা বলে একটি বক্তব্য লিখে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত তথ্য হলো পুলিশ কমিশনার মহোদয় অফিসারদের অভ্যন্তরীণ সভায় নিম্নোক্ত বক্তব্য দিয়েছেন। বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে সকলকে অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী সিলেটভিউকে বলেন, ‘নির্দেশনায় শব্দগত কিছু ভুল ছিল। আমার বক্তব্য যা আগেও ছিল এখনও আছে এবং এটি পরিষ্কার। বিনা অপরাধে যেন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কাউকে হয়রানি না করেন। এবং যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তৎপরতা চালান।’
কমিশনার আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ফেসবুক পোস্ট ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যার মাধ্যমে একটি ভিন্ন অর্থ তুলে ধরা হচ্ছে, যা আমাদের উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সবাইকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় কান না দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।’