
বিএনপির মনোনয়ন দৌঁড়ে সিলেট-৩ আসনে অনেকটা এগিয়ে ছিলেন ব্যারিস্টার এমএ সালাম। তবে নানা জল্পনা আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এমএ মালিককে।
ইতোমধ্যে তার দেয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
দলের মনোনয়ন পেতে এই আসনে তৎপর ছিলেন বিএনপির হেভিওয়েট পাঁচজন প্রার্থী। মনোনয়ন ঘোষণার পর কয়েক দিনের জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ফিরে এসেছেন। এরপর ধানের শীষের পক্ষে নিজ এলাকায় চালাচ্ছেন প্রচারণা। করছেন উঠান বৈঠকও। রবিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সিলেট শহরতলীর সিলাম ইউনিয়নের খড়ারি গ্রামে একটি বৈঠকে দলের নেতাদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন ব্যারিস্টার সালাম।
ব্যারিস্টার সালাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এটা দলের প্রসিডিউর। আমরা মেনে নিচ্ছি। এক হাজার বার মেনে নিচ্ছি। মেনে নিতে হবে। এটাই দল। কিন্তু দলের কর্মীদের নিয়ে বলা হচ্ছে তোমাদের পদ থাকবে না। এটা হবে না, ওটা হবে না। ওটা করতে হবে।
আরে ভাই, এখনো তারা শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এখনো পা ভালো হয়নি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা অনেক কিছুই হারিয়েছে। ৫ই আগস্টের পর আমিই প্রথম এসব নেতাকর্মীদের নিয়ে বালাগঞ্জ থেকে দক্ষিণ সুরমা পর্যন্ত ঘরে ঘরে ৩১ দফার দাওয়াত পৌঁছেছি।
সালাম স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, এরাই তো ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাবে। এরা তো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এখন আপনি হুমকি-ধমকি দেবেন, চক্ষু দেখাবেন, লাঠি দেখাবেন। এই তৃণমূল হচ্ছে দলের প্রাণ, দলের শক্তি। সাবধান, তৃণমূলকে বিভক্ত করবেন না।
সালাম বলেন, ‘আজকে তাদেরকে নিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়া, লাঠি দেখানো হচ্ছে। এটার জন্য কি রাজনীতি! অমুক সমর্থন করলো না। অমুককে সমর্থন করতে হবে। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছি। আজও আমরা বদ্ধপরিকর, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ৩১ দফাকে মূলমন্ত্র ধরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে।’
৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন- ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার এমএ সালাম, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান জামাল, নগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম আদনান।