রাইজিংসিলেট- হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলার ২নং বদলপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ২টি কমিটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। দুটি কমিটিই পাল্টাপাল্টি কার্যক্রম চালাচ্ছে। দুই কমিটিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে নিজেদের বৈধতা দাবি করছেন। দুই কমিটিতেই রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক দেয়া অনুমোদনের স্বাক্ষর।
৩০ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলুর ফেসবুক আইডি হতে এক পক্ষের সভাপতি হোসাইন আহমেদ এবং রাসেল চন্দ্র দাসকে সম্পাদক করে ১০ সদস্যের কমিটির ঘোষণা দেয়াহয়। কিছুক্ষণ পর উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসেন অনিকের আইডি থেকেও একই ধরণের পোস্ট প্রদান করা হয়। তবে সেটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডিলেট দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে তার আইডি থেকে রাবেল রায়কে সভাপতি এবং সজল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫জন সদস্যের কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়, যেখানে উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদকের করা স্বাক্ষর দেখা যায়। এদিকে শনিবার সকালে এক পক্ষের সভাপতি ও সম্পাদককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আবার দুপুরে অন্য পক্ষকে। এনিয়ে উপজেলা এবং জেলাব্যাপী সর্বমহলে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু জানান,সাধারণ সম্পাদক ও আমার সম্মতিক্রমে হোসাইন আহমেদকে সভাপতি ও রাসেল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিই সঠিক।
সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন অনিক বলেন, রাবেল রায়কে সভাপতি ও সজল চন্দ্র দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি দেয়া হয়েছে সেটাই সঠিক। তবে উভয় কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের স্বাক্ষরের বিষয়ে স্বাক্ষর তাদের নয় দাবি করছেন তারা দুজনেই।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজবাহ উদ্দীন ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি মিলোয়ার হোসেন মিলু মুটোফোনে বদলপুর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার বিষয়টি অবগত করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন বলেন, গঠণতন্ত্র বহির্ভূত কোন কমিটি কেউ দিয়ে থাকলে তার দায়ভার সংগঠন নেবে না। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকদের সাথে কথা এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।