
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের ৯ কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাশ করেনি।
কলেজগুলো হল নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ, সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজ, ছিলাখানা মডেল কলেজ, ফুলবাড়ি উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ, রাজারহাট উপজেলার শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ, রৈামারী উপজেলা টাপুর চর স্কুল ও কলেজ, চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ ও উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ। এই ৯ কলেজের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরমফিলাপ করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫৪ জন শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ৫৪জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নেওয়া সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
ছিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, গত বছরেও এ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট ভালো ছিল। ১৩ জন পরীক্ষা দেয় ৭ জন পাস করে। এবারে যে ৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা ফরম পূরণ করতেই চাইনি। বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের ফরম ফিলাপ করানো হয়েছিল।
সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘদিনেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। তাই এমনটা হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম জানান, আমাদের কলেজে মোটামুটি পাঠদান হয়, আসলে বুঝতে পারছি না সবাই ফেল করলো।তবে আমরা আবারও পুনরায় খাতা মূল্যায়নের জন্য আবেদন জানানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আমীর আলী জানান, শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় যে ধরণের নির্দেশনা দিবে সেই ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, নাগেশ্বরী পৌর এলাকায় গত ২০১৩ সালে স্থাপিত কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবারে প্রথমবারের মতো ০৩ জন, ২০০৩ সালে স্থাপিত সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজ থেকে ১ জন ও ২০০০ সালে সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধনী গাগলায় স্থাপিত ছিলাখানা মডেল কলেজ থেকে ৬ জন পরীক্ষার্থী এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এ ছাড়া ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ থেকে ১ জন, শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ ১০ জন, রাশেদ খান মেনন কলেজ ১২ জন, টাপুর চর স্কুল ও কলেজ ৪জন, চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।
কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান তাই এমনটা হয়েছে।