
বড়লেখায় এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগে রাজেন রায় ঘাটোয়ার (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে রাজেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম রাজনগর এলাকায় ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়।
ঘটনার পর ভিকটিম তরুণী আইনের দ্বারস্থ হতে চাইলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজিত কানু ঘটনা ধামাচাপায় তৎপর হয়ে উঠে। মামলা মোকদ্দমা না করতে তিনি ধর্ষিতাকে ভয়ভীতি দেখালে সে কলাজুরা গ্রামের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাজেন রায় ঘাটোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজিত কানু জানান, ধর্ষণের এই ঘটনাটি তিনি জানেন না। জানলে অবশ্যই থানাকে অবহিত করতেন। তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অসত্য বলে তিনি দাবি করেন।
সাবেক ইউপি সদস্যা গীতা রাজভর জানান, পিতৃ-মাতৃহীন ধর্ষিতা তরুণীকে তিনি মেয়ের মতো দেখেন। মাঝেমধ্যে সে প্রতিবেশিদের গৃহস্থালি কাজকর্ম করে কিছুটা আয় রোজগার করে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেশির মাটির বসতঘর লেপার কাজের জন্য একটু দূরে মাটি আনতে যায়। এসময় লম্পট রাজেন রায় ঘাটোয়ার জোরপূর্বক তাকে ধরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি এসে সে ঘটনাটি তা মাসিকে জানায়। আইনি ব্যবস্থা নিতে থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজিত কানু এক সপ্তাহ পর বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে ধর্ষিতাকে থানায় যেতে দেয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ সকালে বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা-আইলাপুরের খাদিজা ভেরাইটিজ স্টোরে চকলেট কিনতে গিয়ে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি থ্যালেসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। এ ঘটনায় শিশুর মায়ের করা মামলায় দোকান মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান ইসলাম আরিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠায়।
বড়লেখা থানার এসআই মফিজুর রহমান জানান, ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতার জবানবন্দী ও আলামত উদ্ধারের পরই অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ধর্ষক রাজেন রায় ঘাটোয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।