বাংলাদেশের প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ (জেপিকেপি)’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি উদ্যোগে বিমানবন্দরে প্রবাসীসহ বিদেশে গমন ও প্রত্যাবর্তনকারী বিমানযাত্রীদের হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসক, সিলেট এর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন জেপিকেপি’র নেতৃবৃন্দ।
জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেপিকেপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাছলিমা আফরিন আঁখি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক মোহাম্মদ রেদওয়ান, দপ্তর সম্পাদক এস. এম শাব্বীর আমীন তাহমীদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আলম তালুকদার কিবরিয়া, সহ-শিক্ষা সম্পাদক হাফিজ আবদাল আহমদ আজাদ, সহ-আইন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া এডভোকেট, সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান এডভোকেট, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাকারিয়া ইফতেখার শামীম, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী, যোগাযোগ ও পরিবহন সম্পাদক মোঃ এনামুল কবির, প্রবাসীপ্রেমী সচেতন নাগরিকদের মধ্যে থেকে মোছাঃ শিউলি আক্তার এডভোকেট, মনির উদ্দিন এডভোকেট ও মাহফুজা আক্তার পুষ্পা।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তু: জেপিকেপি দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দাবি উপস্থাপন করে আসছে। একজন বিমান যাত্রীকে দেশ ত্যাগ এবং দেশে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথমে বিমানবন্দরকেই ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সেখানেই সবধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় বিমান যাত্রীদের। বিমানবন্দরকে সবধরনের যাত্রীদের জন্য একটি অনুকুল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা বিমান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায়। বাধসাধে তখনই যখন যাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থান ব্যতিরেকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যার জন্য বিমানবন্দরকে অধিকাংশ যাত্রীরাই একটি ভীতিকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করেন, যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। বিমানে সব সময়ই মানসম্পন্ন মানের যাত্রীরা যাতায়াত করেন। অপ্রতুল যাত্রী বিমানবন্দরকে অপরাধ জোন হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তার জন্য ঢালাওভাবে সর্বস্তরের যাত্রীদের হয়রানী করার প্রয়োজন হয় না। প্রবাসী যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে একটি নিরাপদ আশ্রয়য়স্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। তাই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে হয়রানী বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ প্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রবাসীদের অর্থে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে রিজার্ভ নিশ্চিত হয়, তারা যখন দেশে ফেরে তখন নানাভাবে তাদেরকে অনেক সময় হয়রানি করা হচ্ছে। যা অত্যান্ত নিন্দনীয়। আমাদের দেশের প্রবাসীরা দিন-রাত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে বিমানবন্দরে হয়রানী করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রবাসীদের রক্ষণাবেক্ষণে সকলকেই বিশেষভাবে সুদৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের সম্পদ, তাদেরকে যথাযথভাবে সর্বক্ষেত্রে সর্বজায়গায় ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্যায়ন করার আহবান করছি।
নি¤œলিখিত দাবি বাস্তবায়নে আপনার দৃঢ় পদক্ষেপ কামনা করছি।
১। লাগেজ কাটা বন্ধ করতে হবে, ২। যাত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে, ৩। ইমিগ্রেশনে অযথা হয়রানী বন্ধ করতে হবে ও ৪। এয়ারপোর্টে অবস্থিত দোকানে দ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।