
কমলগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর এক ব্যক্তির মরেদেহ রেললাইন থেকে উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আগেরদিন বিকাল থেকে নিখোঁজ থাকলেও রবিবার সকালে উপজেলার রেলগেইট এর পাশে খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
তবে পরিবারের দাবি শশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেল লাইনের ওপর লাশ রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামের শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যায়। শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বলছে সেখান থেকে পরদিন বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ইকবালের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিহতের পরিবার ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করছেন। রেললাইন থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের চেহারা এবং জিডি করা নিখোঁজ ইকবালের ছবির সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে।
নিহত ইকবালের ছোট ভাই সালমান আহমেদ বলেন, ‘ভাইয়ের বিয়ের পর থেকে পরিবারে অশান্তি ছিলো। তাই ধারণা তার স্ত্রীই আমার ভাইকে হত্যা করিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেলগেইট এর পাশে কয়েক খন্ডিত একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে রহিমপুর ইউনিয়নের বরচেগ গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়া (৩০) লাশটি শনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘রেললাইন থেকে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘নিহত ইকবালের বাবা থানায় এসে আগের দিন নিখোঁজের একটি জিডি করেন।