
বড়লেখায় চাচার ছোড়া ধারালো বাটালের আঘাতে গুরুতর আহত ভাতিজা রাকিব হোসেন ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বুধবার রাতে পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার পুলিশ নিহত রাকিবের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে এবং ঘাতক চাচা মায়ন আহমদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মায়ন আহমদ উপজেলার হরিপুর (দক্ষিণ) গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে। এব্যাপারে নিহতের পিতা জামিল আহমদ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রস্তুতিকালে বৃহস্পতিবার নিহত রাকিব হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা জামিল আহমদ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ হত্যাকারী আসামি মায়ন আহমদকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর (দক্ষিণ) গ্রামের জামিল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন ও মৃত কমর উদ্দনের ছেলে মায়ন আহমদ সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তারা দুইজনেই আগর কাঠ ফিনিশিংয়ের কাজ করেন। ১৯ মার্চ বুধবার রাতে আগর কাজের সময় তুচ্ছ কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চাচা মায়ন আহমদ হাতে থাকা আগর কাঠ ফিনিশিংয়ের ধারালো বাটাল ছুড়ে মারলে ভাতিজার রাকিব হোসেনের তলপেটে গভীরভাবে বিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। তারা যাতে আইনের দ্বারস্থ হতে না পারে সেজন্য চিকিৎসার কাগজপত্রও কৌশলে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তবে, অবশেষে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘটনাকারীকে গ্রেপ্তার করে হত্যা মামলা রেকর্ড করেছে।