
কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তে চোরাকারবারিদের দ্বন্দ্ব নিয়ে সালিসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।এ ছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় শরীফপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রহমত উল্লাহ বাদি হয়ে থানায় মামলা করছেন।
নিহত যুবকের নাম জাবেল মিয়া (২৫)। সে শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের বাসিন্দা রহমত উল্লাহর ছেলে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম আপছার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চোরাকারবারিদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত জাবেলের মাথার পেছনে ধারালো অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন।
কুলাউড়া থানাপুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভারত থেকে চোরাই মালামাল পরিবহন করা নিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দা জাবের মিয়ার লোকজনের সঙ্গে শামীম মিয়ার লোকজনের বিরোধ হয়। এ সময় জাবেরের লোকজন শামীমের পক্ষের শ্রমিক জাবেল মিয়াকে চড় মারেন।
বিরোধ মিটমাট করতে শনিবার বিকেলে দুই পক্ষ নিশ্চিন্তপুরের একটি বাড়িতে সালিসে বসেন। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলে জাবেল মারা যান।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ঔই রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন, আতিক মিয়া, আসাইদ মিয়া, আক্কাস আলী, সুমন মিয়া।