
রাইজিংসিলেট- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগানে কলেজছাত্র হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (১৯) হত্যার ঘটনায় মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন কিশোরগঞ্জের কাজল মিয়া (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিরাজুল ইসলাম (২১)। তাদের বর্তমান বসবাস শ্রীমঙ্গলের শাহীবাগ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনেই মাদকাসক্ত।
নিহত হৃদয় কমলগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শ্রীমঙ্গলের একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, হৃদয় অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়ায় অর্থ সংকটে ভুগছিলেন। বন্ধু কাজলের কাছ থেকে ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
গত ৭ জুলাই কাকিয়াছড়া চা বাগানে একটি গাছের নিচে হৃদয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। পরে রাজাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত গামছা, একটি স্কুল ব্যাগ, হৃদয়ের মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কাজলের কাছে হৃদয়ের ২২ হাজার টাকা পাওনা ছিল। চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে তাকে কাকিয়াছড়া চা বাগানে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হৃদয়ের মোবাইল ফোন মাত্র ২৫০ টাকায় বিক্রি করে তারা পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।