
বড়লেখায় জাকিয়া বেগম (২০) নামে এক কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্য হয়েছে। শুক্রবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত জাকিয়া উপজেলার বাদেপুকুরিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী আবুল হাসানের স্ত্রী। প্রায় ৭-৮ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, জাকিয়া আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা কেউই বলতে পারছেন না। পুলিশও প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।
স্থানীয়রা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই একজন মানুষ কখনো আত্মহত্যা করতে পারেনা। হয়তো তিনি কারও ওপর অভিমান করেছেন কিংবা ঝগড়া করে আত্মহত্যা করতে পারেন। পুলিশ বিষয়টা তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
বড়লেখা থানার এইআই মো. আব্দুর রাজ্জাক শনিবার বিকেলে বলেন, গলায় ফাস লাগানো অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কোনো কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর আগে ওই গৃহবধূ স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন। লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ জাকিয়ার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাকে গলায় শাড়ি দিয়ে ফাস লাগানো অবস্থায় ঘরের ভীমের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।