রাইজিংসিলেট- ফারদিন আত্নহত্যাও করলেও বান্ধবী বুশরাকে থাকতে হচ্ছে কারাগারে,বুশরার আইনজীবী মোখলেছুর রহমান জানান, বুশরা ফারদিনের ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনোভাবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। এছাড়া বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিনা কারণে কারাগারে আটক থাকায় তার লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এতদিনেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। পুলিশ, র্যাব ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। কাজেই বুশরাকে আটক রাখার আর কোন যৌক্তিকতা নেই।
আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে। যদিও বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বুশরার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।
এ দিন বুশরার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হলেও ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। যার ফলে আগামী রোববার পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে।
এদিকে জামিনের বিরোধিতা করে ফারদিনের বাবা আদালতকে বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। বুশরাই ফারদিনকে হত্যার মূল ইন্ধনদাতা।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তে চিকিৎসক বলেছেন, ফারদিনের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার আলামত সুস্পষ্ট।
এরআগে গত ১৫ ডিসেম্বর ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের মৃত্যুতে তার বান্ধবী বুশরার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ সময় মামলার অভিযোগপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। নিখোঁজের তিনদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় ‘হত্যা করে লাশ গুম’করার অভিযোগে বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন। পরে ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন বুশরা।
৬ বার পড়া হয়েছে।